1 Year Real Life Experience in USA of Bangladeshi Student in F1 Visa

 


আমেরিকাতে ১ বছর পার হয়ে গেলো 🇺🇲

উপরওয়ালার উপর ভরসা রেখে জীবন অনেক কিছু পেয়েছি, চেস্টা অনেক কিছুই এনে দিতে পারে এটা সত্যি। আমার আমেরিকা অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু জিনিস তুলে ধরলাম যেগুলো আপনার কৌতুহলকে প্রস্ফুটিত করবেঃ

• আমেরিকাতে পড়ালেখার ফ্লেক্সিবিলিটি আছে, আপনার ইচ্ছা মত পড়তে পারবেন যেটা আপনার মনে চায়। কোন ক্যাটাগরি নাই। 

• এখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া সহজ, দেশের মত লার্নার নিয়ে পুলিশের কেস খেতে হয় না ৬ মাস ধরে। আপনার যোগ্যতা থাকলে আপনি ১ সপ্তাহেও বের করতে পারবেন৷ 

• আমেরিকান সরকার প্রত্যকটা মানুষের জীবন নিয়ে সতর্ক৷ আপনার যে কোন রকমের ইমার্জেন্সি মহুর্তের ভিতরে হেল্প পেয়ে যাবেন৷ গুরুতর কিছু হলে হেলিকপ্টার চলে আসে। 

• টিজ করা আপনার স্বভাব হলে এখানে আপনি সম্পূর্ণ ধরা কারন এখানে এটা খুব গুরুতর ভাবে দেখা হয়।

• আপনার সাথে কোন ফ্রড হলে আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকলে আপনি খুব দ্রুত ন্যায্য বিচার পাবেন। 

• ইউনিভার্সিটিগুলোতে সবাই খুব ফ্রেন্ডলি হয় এবং সব প্রফেসর কেয়ার করে। সব সমস্যা তাদের জানানো যায়। 

• ক্লাসে পায়ের উপরে পা তুলে শুয়ে পড়ে ড্রিংক খেতে খেতে ক্লাস করতে পারবেন। প্রফেসরগণ কিছুই বলবে না, কিন্তু মাত্রার বাইরে গেলে আপনাকে ডিনের কাছে গিয়ে জবাবদিহি করতে হবে। সাধারনত আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট যারা, তারা এসব ভুল করি না। আমরা খুব সম্মান করি এবং আমাদের শেকড় ভুলি না। 

• দেশে কোন বন্ধু খেতে যাওয়ার জন্য বললে যেমন সেই বন্ধুই হোটেলে টাকা পে করে এমন এখানে না। কেউ আপনাকে খাবার অফার খাওয়ার জন্য অফার করলে এক সাথে খেয়ে বিল His His Whos Whos.

• আমেরিকাতে জুতা, সানগ্লাস আর ব্যাগ এই তিন জিনিস নিয়ে সবাই শো অফ করতে চায়। এগুলোর পেছনে তারা অনেক টাকা খরচ করে। আমার পরিচিত এক জন ১২০০$ দিয়ে জুতা কিনেছে। যা আমার কাছে খুব অতিরিক্ত লাগে।

• এখানে আপনি ভুলে কাওকে ধাক্কা দিলে সেই আপনাকে সরি বলবে, আপনাকেও এই অভ্যাস শিখে নিতে হবে দ্রুত।

• কেউ কাওকে গুরুতর হেল্প করলেও অনলি Thanks বলে চলে যাবে, কিন্তু আপনাকে এর বেশি আশাও রাখা যাবে না। 

• এখানে গাড়ি কেনা অনেক সোজা।

• ক্রেডিট সিস্টেমে আপনি সব কিনতে পারবেন। যেমন আপনি ৪৫ ডলার কিস্তিতে Iphone 14pro max কিনে আপনার দেশের বন্ধুদের অবাক করে দিতে পারেন। 

• এখানে কেনাকাটায় রিফান্ড সিস্টেম আছে। ৩০ দিনের ভিতরে জিনিস ব্যাক দিতে পারবেন। ইউজ করে ভাল না লাগলে লিগ্যাল ভাবে কোন কারন না দশিয়েই।

• এক স্টেট থেকে আরেক স্টেটে যাওয়া সোজা। কোন এক্সট্রা কিছু লাগে না, শুধু পাসপোর্ট। 

• বছর শেষে ট্যাক্স রিটার্ন পাবেন। যেমন আমার বড় ভাইয়েরা টিউশন ফি দিছে ৯৫০০ এক বছরে, তারা ২৮০০$ ট্যাক্স ব্যাক পেয়েছে। আমিও নেক্সট ইয়ারে পাবো জানুয়ারিতে। 

• এখানকার প্রশাসন সহযে কারো পিছে লাগে না, কিন্তু একবার ধরলে নাড়ি বের করে আনবে এমন ভাবেই ধরে। 

সর্বোপরি অনেক স্বাধীনতা ভরা এখানে কিন্তু আমাদের উচিত এই কালচারকে আকড়ে না ধরে কিছুটা এডাপ্ট করা আর আমাদের দেশীয় মনোভাব বজিয়ে রাখা।

দুদিন এসে আল্লাহ, নামাজ ভুলে, বাংলাদেশ ভুলে ভিনদেশিদের সাথে চমোলোক্ক করলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।